দ্বীনদার ও নেক
সন্তান লাভের উপায়
সন্তান-সন্তুতি
দানের ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ তা’আলার হাতে। আল্লাহ তা’আলা মানুষকে যত চাহিদা ও আকর্ষণ
দান করেছেন,
তার মধ্যে সন্তান-সন্তুতির
আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি। সুতরাং প্রত্যেক মানুষের উচিত আল্লাহ তা’আলার নিকট নেক সন্তানের
কামনা করা। আর যাদের
সন্তান হয় না। তাদের উচিত আল্লাহর শেখানো ভাষায় আল্লাহ তাআলার নিকট দুআ’ করা।
দুআ'র উৎস:
হজরত জাকারিয়া
আলাইহিস সালাম বার্ধক্য পর্যন্ত নিঃসন্তান ছিলেন। তিনি দেখতে পেলেন আল্লাহ তাআলা ফলের
মৌসুম ছাড়াই হজরত মারইয়াম আলাইহিস
সালামকে ফল দান করে রিজিকের ব্যবস্থা করেন। তখন তাঁর মনে সন্তানের জন্য সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা
জেগে উঠল। তিনি সাহস
পেলেন যে, আল্লাহ বৃদ্ধ দম্পতিকেও সন্তান দান করতে পারেন। তাই তিনি আল্লাহর দরবারে
উক্ত দুআ’টি করেন। আর সন্তান হওয়ার
জন্য দু’আ করা পয়গাম্বরগণের সুন্নাত।
দুআ'টি হলো :
রাব্বি হাবলি মিল্লাদুনকা
জুররিয়্যাতান ত্বাইয়্যিবাতান,
ইন্নাকা সামিউ’দ দুআ’ই
(সূরা আল-ইমরান
: আয়াত ৩৮)
অর্থাৎ হে আমাদের
প্রভু! আপনার নিকট থেকে আমাকে পূত-পবিত্র সন্তান দান করুন।
নিশ্চয় আপনি প্রার্থনা
কবুলকারী।
সুতরাং আমরা সন্তান-সন্তুতি
কামনায় দুনিয়ার কোনো মানুষের কাছে সন্তান কামনা করব না। কোনো অবৈধ ও অনৈসলামিক উপায়
অবলম্বন না করে আল্লাহ ওপর ভরসা করে উক্ত দুআ’টি নিয়মিত পাঠ করি। আল্লাহ আমাদের নেক
সন্তান দান করবেন। আল্লাহ আমাদেরকে কুরআনের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন।
নেক সন্তান লাভের
জন্য আরও কিছু আমল আছে যা সঠিক ভাবে পালন করা জরুরি। আমল গুলো হলো:
১। স্বামী-স্ত্রী
উভয়ই পাক পবিত্র থাকতে হবে।
২। কোন শিশু বা
পশুর সামনে সংগমে রত হবে না
৩। মুস্তাহাব হলো
“বিসমিল্লাহ” বলে সহবাস শুরু করা।
ভুলে গেলে যখন বীর্যপাতের
পূর্বে মনে মনে পড়ে নেবে।
৪। সহবাসের পূর্বে
সুগন্ধি ব্যবহার করাও আল্লাহর রাসুলের [সা.] সুন্নত।
৫। দুর্গন্ধ জাতীয়
জিনিস পরিহার করা উচিত। উল্লেখ্য যে , ধুমপান
কিংবা অপরিচ্ছন্ন থাকার কারণে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। আর এতে কামভাব
কমে যায়। আগ্রহের স্থান দখল করে নেয় বিতৃষ্ণা।
৬। পর্দা ঘেরা স্থানে
সংগম করবে।
৭। সংগম শুরু করার
পূর্বে শৃঙ্গার করবে।
৮। কোনোভাবেই কেবলামূখী
না হওয়া।
৯। স্বামী-স্ত্রী
উভয়ই একেবারে উলঙ্গ হবে না।
১০। বীর্যপাতের
পর ততক্ষণাত বিচ্ছিন্ন হবে না, বরং স্ত্রীর বীর্যপাত
হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।
১১। বীর্যপাতের
সময় মনে মনে নির্ধারিত দোয়া পড়বে।
কেননা যদি সে সহবাসে
সন্তান জন্ম নেয় তাহলে সে শয়তানের প্রভাব মুক্ত হবে।
১২। নিয়ত ঠিক করুন।
হযরত আলী (রা.) তাঁর অসিয়ত নামায় লিখেছেন যে, সহবাসের ইচ্ছে হলে
এই নিয়তে সহবাস করতে হবে যে, আমি ব্যভিচার থেকে দূরে থাকবো। আমার
মন এদিক ওদিক ছুটে বেড়াবেনা আর জন্ম নেবে নেককার ও ভালো সন্তান।
এই নিয়তে সহবাস করলে তাতে সওয়াব তো হবেই সাথে সাথে উদ্যেশ্যও
পূরণ হবে, ইনশাআল্লাহ।
No comments:
Post a Comment