Friday, August 16, 2019

Salat e Janaza

জানাযার নামাজের বিবরনঃ

মুর্দাদের রূহের মাগফিরাট কামনায় দাফনের  আগে এই নামাজ পড়া হয়, উহাকে জানাযার নামাজ বলে, এই নামাজ ফরজে "কেফায়াহ"। কিছু লোকে আদায় করিলে সকলের পক্ষ হইতে আদায় হইয়া যায়।

মূর্দাদের মাথা উওর দিকে রাখিয়া ছিনা বরাবর ইমাম দাড়াইবে তাহার পিছনে ৩/৫/৭ কাতারে মুক্তাদীগণ  দাড়াইবে।

ইমামের তাকবীরের পরে মুক্তাদীগণ নিয়ত করত হাত বাধিয়া নামাজ শুরু করবে।এই নামাজে চার তাকবীর বলা ও দাড়ানো ফরজ এবং মুর্দার জন্য দোয়া করা ওয়াজীব।

জানাযার নামাজের নিয়তঃ

উচ্চারনঃ
নাইয়াইতু আন উআদ্দিয়া লিল্লাহি তায়ালা আরবায়া তাকবিরাতি ছালাতিল জানাজাতি ফারদিল কিফায়াতি,আছানাউ লিল্লাহী তায়ালা  ওয়াছালাতু আলান্নাবিয়ি ওয়াদ্দুআউ লিহাযাল মাইয়িতি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর।

ছানাঃ

উচ্চারনঃ

সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ও বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওজাল্লা ছানাউকা ওয়ালা ইলাহা গাইরুকা।

তারপর ২য় তাকবীর বলিয়া হাত না উঠাইয়া সকলে চুপে চুপে দুরূদ শরীফ পাঠ করিবে
হাত না উঠাইয়া ৩য় তাকবীরে বলিয়া নিচের দোয়া পরিবে।

জানাযার নামাজের দোয়াঃ

উচ্চারনঃ
আল্লাহুম্মাগ ফির লিহাইয়িনা ওয়া মাইয়িতিনা ওয়া শাহিদীনা ওয়া গায়িবিনা।

আল্লাহুম্মা মান আহইয়াইতাহু ।মিন্না ফায়াহয়িহী আলাল ইসলামী ওয়া মান তাওয়াফফাহু আলালঈমান।

অর্থ ঃ
হে আল্লা!আমাদের ভিতরে জীবিত, মৃত,বালক বালিকা, সকলকে মাফ করিয়া দিন। হেআল্লাহ! আমাদের ভিতরে  যাহাদেরকে জীবিত রাখ ইসলামের উপর জীবিত রাখিও। যাহাদের মৃতু্ ঘটাও  তাদেরকে ইমানের সাথে মৃত্যু দান করিও।


Wednesday, August 14, 2019

সালাতুয যুহা, চাশত, ইশরাক, আওয়াবিন: এগুলোর অর্থ, ওয়াক্ত, ফযিলত এবং এগুলোর মধ্যে পার্থক্য

সালাতুয যুহা, চাশত, ইশরাক, আওয়াবিন:
এগুলোর অর্থ, ওয়াক্ত, ফযিলত এবং এগুলোর মধ্যে পার্থক্য

আল্লামা আব্দুল্লাহ বিন বায রাহ. বলেন, সালাতুল ইশরাক বা শুরুক, সালাতু যোহা বা চাশত এবং সালাতুল আওয়াবীন ইত্যাদিগুলো একই নামাযের ভিন্ন ভিন্ন নাম।

🔸 ইশরাক অর্থ: সূর্যোদয়। সূর্য উঠার ১৫/২০ মিনিট পরে যে সালাত আদায় হয় তাকে সালাতুল ইশরাক বলা হয়। এটি মূলত: সালাতুয যোহার ১ম সময়।
🔸 সালাতুয যোহা অর্থ: পূর্বাহ্নের সালাত। এটিকেই চাশত বলা হয়। সূর্যের উত্তাপ বেশি হওয়ার পর এই সালাত আদায় করা হয়। সময়ের হিসেবে যোহর সালাতের দেড় বা দু ঘণ্টা পূর্বে এটি আদায় করা সবচেয়ে উত্তম।

🔸সালাতুল আওয়াবীন অর্থ: আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারীদের সালাত। এটিই সালাতুয যোহা বা চাশতের অপর নাম। যেমন:

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنّ رَسُولَ اللّهِ صَلّى اللّهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ قَالَ: لَا يُحَافِظُ عَلَى صَلَاةِ الضّحَى إلّا أَوّاب وهي صلاة الأوابين
আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "সালাতুয যোহা (চাশতের নামায) এর প্রতি কেবল সেই যত্নবান হতে পারে যে, আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী। সুতরাং এটাই হল 'সালাতুল আওয়াবীন' বা আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারীদের সালাত।"
(সহিহ ইবনে খুযায়মা, শাইখ আলবানী এটিকে হাসান বলেছেেন। দ্রষ্টব্য: সহিহ তারগীব তারহীব ১/১৬৪)

অন্য একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
عَنِ الْقَاسِمِ الشَّيْبَانِيِّ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ، رَأَى قَوْمًا يُصَلُّونَ مِنَ الضُّحَى فَقَالَ أَمَا لَقَدْ عَلِمُوا أَنَّ الصَّلاَةَ فِي غَيْرِ هَذِهِ السَّاعَةِ أَفْضَلُ ‏.‏ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ صَلاَةُ الأَوَّابِينَ حِينَ تَرْمَضُ الْفِصَالُ ‏"

কাসিম আশ শায়বানী রহ. থেকে বর্ণিত যায়দ ইবনু আরকাম রা. একদল লোককে 'যুহা’ বা চাশতের সলাত আদায় করতে দেখে বললেনঃ এখন তো লোকজন জেনে নিয়েছে যে, এ সময় ব্যতীত অন্য সময় সলাত আদায় করা উত্তম বা সর্বাধিক মর্যাদার। কেননা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ 'সলাতুল আওয়াবীন’ সলাতের সময় হ’ল তখন সূর্যতাপে উটের বাচ্চাদের পা গরম হয়ে যায়।
[(সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী) অধ্যায়ঃ ৬। মুসাফিরদের সলাত ও তার কসর (كتاب صلاة المسافرين وقصرها), হাদিস নম্বরঃ [1631] পরিচ্ছদঃ ১৯. যখন উটের বাচ্চা গরম অনুভব করে (দিনের উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়) তখনই সলাতুল আওওয়াবীন (চাশতের সলাতের সময়)]

👉 উল্লেখ্য যে, অনেকে মাগরিব ও ইশার সালাতের মধ্যবর্তী সময়ে ছয় রাকাআত নফল সালাতকে সালাতুল আওয়াবীন হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন। কিন্তু উপরোক্ত হাদীসের আলোকে প্রমাণিত হয় যে, এ কথা ঠিক নয়। যদিও মাগরিব ও ইশার সালাতের মধ্যবর্তী সময়ে নফল সালাত আদায় করা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। তবে তা ছয় রাকাআতে সীমাবদ্ধ নয়। বরং যতখুশি পড়া যায়। আর সেটিকে সালাতুল আওয়াবীন বলাটা ভুল বা উক্ত হাদীস পরিপন্থী।

এর সর্বশেষ সময় সূর্য মাথার উপরে আসার আগ পর্যন্ত।

❖ সালাতুল ইশরাক এর ফযীলত:

সালাতুল ইশরাক অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ সালাত। এ মর্মে হাদীসে বর্ণিত হয়েছে,
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
مَنْ صَلَّى الْغَدَاةَ فِي جَمَاعَةٍ ، ثُمَّ قَعَدَ يَذْكُرُ اللَّهَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ ، كَانَتْ لَهُ كَأَجْرِ حَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ
“যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাআতে পড়ে, অতঃপর সূর্যোদয় অবধি বসে আল্লাহর যিকির করে তারপর দুই রাকআত নামায পড়ে, সেই ব্যক্তির একটি হজ্জ ও উমরার সওয়াব লাভ হয়।”
বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহর রসূল (সাঃ) বললেন, “পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণ।” অর্থাৎ কোন অসম্পূর্ণ হজ্জ-উমরার সওয়াব নয় বরং পূর্ণ হজ্জ-উমরার সওয়াব। (তিরমিযী, সুনান, সহিহ তারগিব ৪৬১নং)
উল্লেখ্য যে, এ হাদীসটি অনেক মুহাদ্দিস যঈফ বলেছেন। কিন্তু মুহাদ্দিস আলবানী রহ. এটিকে সহীহ হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন।

❖ রাকআত সংখ্যা:

এ সালাতের সর্ব নিম্ন রাকআত সংখ্যা হল দুই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা বিজয়ের সময় ৮ রাকআত সালাতুয যোহা পড়েছিলেন। তবে সঠিক মতানুসারে এর সর্বোচ্চ সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়। সুতরাং ইচ্ছা অনুযায়ী দু রাকআত করে, ২, ৪, ৬, ৮, ১০, ১২ বা তার চেয়ে বেশি যতখুশি  এই সালাত আদায় করা যায়। কেননা, এ মর্মে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, আমর বিন  আবাসা রা. কে লক্ষ্য করে নবী সা. বলেন
إذا صليت الفجر فأمسك عن الصلاة حتى تطلع الشمس قيد رمح ثم صل فإن الصلاة محضورة مشهودة إلى أن تقف الشمس- أخرجه مسلم في صحيحه مطولا
“ফজর পড়ার পর সূর্য উঠা পর্যন্ত নামায পড়া থেকে বিরত থাকো। তারপর এক বর্শা পরিমান সূর্য উদিত হওয়ার পর নামায পড়ো। কেননা, নামাযে ফেরেশতাগণ উপস্থিত হন। এভাবে তুমি সূর্য (মাথার উপর) স্থির হওয়া পর্যন্ত পড়তেই থাকো।” (সহীহ মুসলিম, এটি একটি লম্বা হাদীসে অংশ বিশেষ)
উক্ত হাদীসে নবী সা. এই সলাতের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেন নি বরং সূর্য মাথা বরাবার স্থির হওয়ার আগ পর্যন্ত যতখুশি পড়তে বলেছেন।

আল্লাহু আলাম।

▬▬▬▬▬▬▬
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব
fb id: AbdullaahilHadi

Thursday, July 11, 2019

অন্তরের খারাপী ও যিনা থেকে বাঁচার ৯টি দোয়া

নফসের সাথে কাম প্রবৃত্তির একটা সম্পর্ক আছে। তাই ভাই ও বোনেরা দেখুন ত এই দু'আগুলি আমার আপনার জন্য কতটুকু জরুরি।

#অন্তরের_খারাপী_ও_যিনা_থেকে_বাঁচার_৯টি_দোয়া-

রসূলের ভবিষ্যৎ বাণী শেষ জামানায় মানুষের ঈমান টিকিয়ে রাখা নিজের হাতের তালুতে আগুনের কয়লা রখার চেয়েও বেশি কষ্ট হবে। মানুষের ক্বলব/নফস/আত্মা/অন্তর আজ কলুষিত। তাই আজ অবলীলায়য় মানুষ আজ বিভিন্ন পাপ কাজে জড়িয়ে যচ্ছে। ব্যাভিচার/ যিনা আজ তরূণ প্রজন্মের এক মারাত্মক ব্যধি। তাই আল্লাহর কাছে তাহাজ্জুদে, প্রতি আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে, প্রতি ফরজ সলাতের পর, জুমু'আ দিন আসরের পর দু'আ কবুলের বিশেষ মুহূর্তগুলি সর্বাদা আল্লাহর কাছে চাবেন। আর প্রতিদিন ১টি দু'আ শিখলে ৯ দিনে ৯টি দু'আ মুখস্থ হয়ে যাবে। আরবি দেখে মুখস্থ করুন। সহায়তার জন্যে বাংলা উচ্চারণ দেয়া হয়েছে। আর অর্থ সহ মুখস্থ করুন। আর না হলে কি চাচ্ছেন এটিই বুঝবেন না।

#ক্বলব_(#অন্তর)#সংশোধনের_দোয়া-

♣১) দ্বীনের পথে হিদায়াতের উপর টিকে থাকার জন্য আল্লাহর শেখানো দোয়া -

ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻟَﺎ ﺗُﺰِﻍ ﻗُﻠُﻮﺑَﻨَﺎ ﺑَﻌْﺪَ ﺇِﺫْ ﻫَﺪَﻳْﺘَﻨَﺎ ﻭَﻫَﺐ ﻟَﻨَﺎ ﻣِﻦ ﻟَّﺪُﻧﻚَ ﺭَﺣْﻤَﺔً ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﻮَﻫَّﺎﺏُ

#উচ্চারণ - রব্বানা-লা-তুযিগ্ কুলূবানা- বা’দা ইয্ হাদাইতানা-অহাবলানা-মিল্ লাদুন্কা রহমাহ , ইন্নাকা আন্তাল্ অহ্হা-ব্।

#অর্থ-  হে আমাদের রব, আপনি হিদায়াত দেয়ার পর আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন। নিশ্চয় আপনি সবকিছুর দাতা। (সূরা আলে ইমরান : আয়াত- ৮)

♣২) অন্তরকে দ্বীনের উপর অবিচল রাখতে রসূলের শেখানো  দোয়া-

ﻳَﺎ ﻣُﻘَﻠِّﺐَ ﺍﻟْﻘُﻠُﻮﺏِ ﺛَﺒِّﺖْ ﻗَﻠْﺒِﻲ ﻋَﻠﻰ ﺩِﻳْﻨِﻚ َ

#উচ্চারণ- ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলূবি সাব্বিত ক্বলবী আ'লা- দ্বীনিক।

#অর্থ- হে অন্তর সমুহের ওলট-পালটকারী! আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের উপর অবিচল রাখুন। (তিরমিযী : হাসান।)

♣৩)অন্তরসমূহকে আল্লাহর আনুগত্যের দিকে ঘুরানোর দু'আ-

ﺍَﻟﻠّﻬُﻢَّ ﻣُﺼَﺮِّﻑَ ﺍﻟْﻘُﻠُﻮﺏِ ﺻَﺮِّﻑْ ﻗُﻠُﻮْﺑَﻨَﺎ ﻋَﻠﻰ ﻃَﺎﻋَﺘِﻚَ

#উচ্চারণ - আল্লা-হুম্মা মুছররিফাল ক্বুলূবি ছররিফ ক্বুলূবানা- আ'লা- ত্বয়া-আ'তিক।

#অর্থ- হে আল্লাহ! হৃদয় সমূহের
পরিবর্তনকারী! আমাদের হৃদয়গুলোকে আপনার আনুগত্যের দিকে ঘুরিয়ে দিন।
(মুসলিম)

♣৪) হিদায়াত, তাক্বওয়া, সচ্চরিত্র ও প্রাযুর্যতার দু'আ-

ﺍَﻟﻠّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲْ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﻬُﺪﻯ ﻭَﺍﻟﺘُّﻘﻰ ﻭَﺍﻟْﻌَﻔَﺎﻑَ ﻭَﺍﻟْﻐِﻨﻰ

#উচ্চারণ - আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস আলুকাল হুদা ওয়াততুক্বা- ওয়াল আ'ফা-ফা ওয়াল গিনা।

#অর্থ- হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে হিদায়াত, তাকওয়া, সচ্চরিত্রতা ও প্রাচুর্য্যতার প্রার্থনা করছি। ( মুসলিম)

♣৫) কৃত আমল ও না করা আমলের অনিষ্ট হতে আশ্রয় চাওয়ার দু'আ-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَالْهَرَمِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ اللَّهُمَّ آتِ نَفْسِي تَقْوَاهَا وَزَكِّهَا أَنْتَ خَيْرُ مَنْ زَكَّاهَا أَنْتَ وَلِيُّهَا وَمَوْلاَهَا اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عِلْمٍ لاَ يَنْفَعُ وَمِنْ قَلْبٍ لاَ يَخْشَعُ وَمِنْ نَفْسٍ لاَ تَشْبَعُ وَمِنْ دَعْوَةٍ لاَ يُسْتَجَابُ لَهَا

#উচ্চারণ- আল্ল-হুম্মা ইন্নী আউ'-যুবিকা মিনাল আ'জঝি ওয়াল কাসালি ওয়াল জুবনি ওয়াল বুখলি ওয়াল হারামি ওয়া আ'যা-বিল ক্বাবর। আল্ল-হুম্মা আ-তি নাফসী তাক্বওয়া-হা- ওয়া ঝাক্কিহা- আনতা খইরু মান ঝাক্কা-হা- আনতা ওয়ালিয়্যুহা- ওয়া মাওলা-হা-।  আল্ল-হুম্মা ইন্নী আউ'-যুবিকা মিন ইলমিন লা- ইয়ানফা'অ ওয়ামিন ক্বলবিন লা- ইয়াখশা'অ ওয়ামিন নাফসিন লা- তাশবা'অ ওয়ামিন দা'অওয়াতিন লা- ইউসতাজা-বু লাহা-।

#অর্থ- "হে আল্লাহ! আমি আপনার কছে আশ্রয় চাই, অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরষতা, কৃপণতা, বার্ধক্য এবং কবরের আযাব থেকে। হে আল্লাহ! আপনার আমার নফসে (অন্তর) তাকওয়া দান করুন এবং একে পরিশুদ্ধ করে দিন। আপনি একে সর্বোত্তম পরিশোধনকারী, আপনিই এর মালিক ও এর অভিবাবক। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই অনুপকারী ইলম থেকে ও ভয় ভীতিহীন কলব থেকে; অতৃপ্ত নফস থেকে ও এমন দুআ থেকে যা কবুল হয় না।" (মুসলিম (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ৫০/ যিকর, দু’আ, তাওবা ও ইসতিগফার, হাদিস নম্বর-৬৬৫৮।)

♣৬)  অন্তরের হেদায়াত ও নফসের অনিষ্ট থেকে বাঁচার দু'আ-

اللَّهُمَّ أَلْهِمْنِي رُشْدِي وَأَعِذْنِي مِنْ شَرِّ نَفْسِي

#উচ্চারণ - আল্লা-হুম্মা আলহিমনী রুশদী ওয়াআ'ইযনী মিন শাররি নাফসী।

#অর্থ- হে আল্লাহ! আমার অন্তরে হেদায়াত ঢেলে দিন আর আমাকে পানাহ দিন আমার নফসের  অনিষ্ট থেকে।  ( তিরমিজী-৩৪৮৩, অধ্যায় ৫০ )

#যিনা_থেকে_বাঁচার_দোয়া-

♣১)ক্ষমা, অন্তর পবিত্র ও চরিত্র রক্ষার দোয়া -

ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﺫَﻧْﺒِﻲ ﻭَﻃَﻬِّﺮْ ﻗَﻠْﺒِﻲ، ﻭَﺣَﺼِّﻦْ ﻓَﺮْﺟِﻲ

#উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগফির যাম্বী- ওয়া ত্বহহির ক্বলবী- ওয়া হাছছিন ফারজী-

#অর্থ: হে আল্লাহ, আমাকে ক্ষমা করুন। আমার অন্তরকে পরিষ্কার করুন এবং আমার চরিত্র রক্ষা করুন। (আহমদ- ২২২১১)

♣২) মন্দ কিছু শোনা, দেখা, বলা, অন্তরের খারাপি ও বীর্যের অপব্যবহার হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য দোয়া -

ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺳَﻤْﻌِﻲ، ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺑَﺼَﺮِﻱ، ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻟِﺴَﺎﻧِﻲ، ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻗَﻠْﺒِﻲ، ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ
ﻣَﻨِﻴِّﻲ

#উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আ’ঊযুবিকা মিন শাররি সাম‘ঈ, ওয়া মিন শাররি বাসারী-, ওয়া মিন শাররি লিসানী, ওয়া মিন শাররি ক্বালবী, ওয়া মিন শাররি মানিয়্যয়ী।

#অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই মন্দ কিছু শোনা থেকে, মন্দ কিছু দেখা থেকে, মন্দ কিছু বলা থেকে, আমার বীর্যের অপব্যবহার হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য।
(আবু দাউদ ১৫৫১, তিরমিযী ৩৪৯২, নাসাঈ ৫৪৪৪,৫৪৫৫)

♣৩) গর্হিত চরিত্র, কাজ ও কুপ্রবিত্তি থেকে আশ্রয় চাওয়ার দোয়া -

ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻣُﻨْﻜَﺮَﺍﺕِ ﺍﻷَﺧْﻼَﻕِ
ﻭَﺍﻷَﻋْﻤَﺎﻝِ ﻭَﺍﻷَﻫْﻮَﺍﺀِ

#উচ্চারণ - আল্লা-হুম্মা ইন্নী আউ'-যুবিকা মিন মুনকাড়া-তিল আখলা-ক্বি ওয়াল আ'অমা-লি ওয়াল আহওয়া-অ।

#অর্থ- হে আল্লাহ,  আমি তোমার কাছে গর্হিত চরিত্র, গর্হিত কাজ ও কুপ্রবিত্তি হতে আশ্রয় চাই। (তিরমিযী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন।৬ষ্ঠ খন্ড।অধ্যায়ঃ দোয়া।হাদিস নাম্বার ৩৫৯১।)

বি:দ্র- আমার অনুমতি ছাড়াই দু'আগুলি কপি, পেষ্ট করে ছড়িয়ে দিন ওয়ালে, গ্রুপে, পেজে, ইনবক্সে, ব্লগে। আর নোটপ্যাড এ সেভ করুন পোষ্টটি তাহলে আরবি ফন্ট বড় আসবে।